মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের একটা দেশ উপহার দিয়েছেন। আর এখন আমরা তরুণরা যারা দেশের জন্য কাজ করছি তারা একেক জন মুক্তযোদ্ধা যাদের প্রধান কাজ হবে প্রপ্ত দেশটাকে সুন্দরভাবে সাজানো ।দেশের সামাজিক অবকাঠামোগত উন্নয়নে অবদান রাখা, সামনে থেকে নেতৃত্ব দেয়া, আমরা তরুণরা যদি দায়িত্ব নিয়ে বাংলাদেশে একটি সুস্থ পরিবেশ ও সুন্দর জীবন্যাপন নিশ্চিত করতে পারি তাহলেই মুক্তিযোদ্ধাদের মত আমরা এ প্রজন্মের মুক্তযোদ্ধারাও আগামী প্রজন্মের কাছে আদর্শ হয়ে থাকবো।।
তারুন্যের অর্জনকে বর্জন করে পৃথিবীর কোন দেশ, কোন জাতিই তার ইতিহাস লিখতে পারেনি । কারণ একটি জাতির জন্য তারুণ্য এমন এক অনির্বাণ শক্তি যা সকল সম্ভাবনাগুলোকে যেমন সম্ভব করে তুলতে পারে আবার তরুণরা পথভ্রষ্ট হতে থাকলে জাতির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে উঠতে পারে, জাতির অস্তিত্ব বিলিন হয়ে যেতে পারে।
“এ দেশে যোগ্য তরুণের সংখ্যা যত বাড়তে থাকবে সামাজিক অবক্ষয় ততটা কমতে থাকবে। দেশের সামাজিক অবকাঠামো তত শক্তিশালী হবে”।
তরুণ বয়সটা জীবনের এমন একটি সময়কে অধিকার করে রাখে যখন একজন মানুষ তার জীবনের গুরুত্তপুর্ন সিদ্ধান্তগুলো গ্রহন করে, অভ্যাসগুলো চর্চা করে, আচরণওগুলো রপ্ত করে, নৈতিকতাগুলো ধারণ করে। এ সময়েই তরুণরা পাশে দাড়াতে শেখে, কাছে টানতে শেখে, মেনে নিতে শেখে, মানিয়ে নিতে শেখে। যে তরুণ সিদ্ধান্ত নেয় সে জীবনে কোনদিন ধুমপান করবেনা সে নিজের জন্য, পরিবারের জন্য এমনকি দেশের জন্য একটি গুরুত্তপুর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে।তাই তরুণ বয়সে যে যত ইতিবাচক সিদ্ধান্ত গ্রহন হরতে পারে সে পরবর্তী সময়ে তত বেশি সাফল্যকে আলিঙ্গন করতে পারে। আবার যে সকল তরুণ ঐ সময়ের গুরুত্বটিকে ঠিকমত অদুধাবন করতে না পেরে হেয়ালিপনায় গা ভাসিয়ে দেয় তারা জীবনের পরবর্তী পরযায়গুলোতে হতাসায় ভোগে এবং জীবনের লক্ষ থেকে অনেক দূরে সরে যেতে থাকে।
আজকাল নগর কেন্দ্রিক যান্ত্রিক সভ্যতায় তরুণদের মধ্যে জেনারেশন লারনিং না প্রজন্ম শিক্ষার অভাবটা বেশ প্রকট হচ্ছে। আধুনিক প্রযুক্তির অপব্যবহারের কারণে তারা সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়ার সাথে পুরোপুরি অভ্যস্ত হতে পারছেনা। তাই এই বয়সে তারা যত বেশি সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের যাথে নিজেদের যুক্ত রাখতে পারবে তত বেশি তারা সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে নিজেদের ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য যোগ্য হিসেবে প্রস্তুত করতে পারবে। এ দেশে যোগ্য তরুণের সংখ্যা যত বাড়তে থাকবে সামাজিক অবক্ষয় ততটা কমতে থাকবে। দেশের সামাজিক অবকাঠামো তত শক্তিশালী হবে। আর এই যোগ্য তরুণরাই একদিন একটি শক্তিশালী সামাজিক অবকাঠামো বিনির্মাণ করে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় কাঠামোগুলোকে শক্তিশালীকরণে ভূমিকা রাখতে শুরু করবে।
আহসান রনি
প্রতিষ্ঠাতা; Green Savers