পলাশবাড়ীতে আওয়ামী লীগের পদধারীর জামায়াত সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে তদন্ত

পলাশবাড়ীতে আওয়ামী লীগের পদধারীর জামায়াত সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে তদন্ত

গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে নবগঠিত উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান মুকিতের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপত্তিকর বক্তব্য ও জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে সংশ্লিষ্টার অভিযোগে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

একজনকে আহবায়ক ও চারজনকে সদস্য রেখে পাঁচ সদস্যের ওই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।  
শনিবার (২৩ এপ্রিল) গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. শামস-উল আলম হিরু ও সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক স্বাক্ষরিত এক চিঠি এ তথ্য জানানো হয়।

তদন্ত কমিটির আহবায়ক করা হয়েছে গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি অ্যাড. সুলতান আলী মণ্ডলকে।

তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম, জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক পিয়ারুল ইসলাম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অ্যাড. জরিদুল হক ও সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল আলম সাকা। 

চিঠিতে বলা হয়, কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশে অভিযোগে বিষয়টি সত্যতা জানার জন্য পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হলো।

আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সম্পাদকের কাছে জমা দিতে বলা হয়েছে।

এর আগে চলতি বছরের ১৩ মার্চ পলাশবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের পাঁচ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ও জেলা আওয়ামী লীগ। পরে ওই কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদক পদ পাওয়া মুকিতের বিরুদ্ধে জামায়াত সংশ্লিষ্টার অভিযোগ ওঠে। 

কমিটিতে অন্যদের মধ্যে ছিলেন- সভাপতি পদে উপাধ্যক্ষ শামিকুল ইসলাম লিপন, সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম মণ্ডল, সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান মুকিত, সহ সভাপতি অধ্যক্ষ স্যাইফুলার রহমান চৌধুরী তোতা ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বাবু। 

পলাশবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক মো. আমিনুল ইসলাম অভিযোগ করে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, তার (মুকিত) বাবা জামায়েত ইসলামীর গাইবান্ধা জেলা শাখার সাবেক ভারপ্রাপ্ত আমীর এবং পলাশবাড়ী উপজেলা শাখার সভাপতি ছিলেন। মুকিতের মা পলাশবাড়ী সরকারি কলেজের ১৯৯২-১৯৯৩ সালে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে প্রকাশ্যে ছাত্র শিবিরে ভোট প্রার্থনা করেছিলেন। 

এদিকে ওই কমিটির সহ সভাপতি অধ্যক্ষ স্যাইফুলার রহমান চৌধুরী তোতা সাংবাদিকদের বলেন, ১৯৭০ সালের জাতীয় নির্বাচনে এখানে হারিকেন প্রতীকে মুসলিম লীগের প্রার্থী ছিলেন মুকিতের নানা মৌলভী আব্দুস সামাদ। মুকিত এর আগে পলাশবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের কোনো কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না।

তবে অভিযোগের বিষয়ে মুকিত সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। 

তথ্য সূত্র ঃ ৭১ টিভি অনলাইন।